;
প্রথমত, কিছু বিনিয়োগকারী আছে যারা শেয়ারে লাভ হবার সঙ্গে সঙ্গে বেঁচে দেন পরে আরো দাম বেড়ে গেলে হা হুতোশ করেন।
দ্বিতীয়ত,অন্য কিছু বিনিয়োগকারী আছে যারা শেয়ারে লাভ হলে বেচেন না তারা আরো বাড়ার আশায় থাকেন এক পর্যায়ে দেখা যায় যে পুনরায় শেয়ারটির দাম তার কেনা দামের নিচে চলে আসে অথবা লাভের পরিমান কমে যায়।
মজার একটি ব্যাপার হল শেয়ার বাজারে অনেকেই লাভ নেওয়ার ক্ষেএে সিদ্বানতহীনতায় পড়েন কিন্তু লসের ক্ষেএে লস করে বেচার ক্ষেএে চটজলদি বেঁচে দেন।
আর তাই আমি এই বিষয়ে সঠিক সিদ্বান্ত নেবার সুবিধাতে নিচে কিছু কৌশল বর্ণনা করছিঃ
দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের ক্ষেএেঃ
১।প্রথমেই বিনিয়োগকারীকে ঠিক করে নিতে হবে যে কত পরিমান লাভ তার টার্গেট হবে।
২। তবে বিনিয়োগকারীকে মোটামুটি ৩০% লাভের টার্গেট করে বিক্রি করতে হবে।
৩।যদি দেখা যায় শেয়ারটি পূর্বের বছরের তুলনায় দাম অনেকাংশ বেড়ে গেছে কিন্তু শেয়ারটির ভলিউম পূর্বের দিনগুলোর মত স্বাভাবিক আছে সে ক্ষেএে কিছু দিন অপেক্ষা করে যখন অস্বাভাবিক ভলিউমে যাবে তখন বিক্রি করে দিতে হবে।
৪।দাম বাড়ার পর যখন শেয়ারটি একটি মূল্যে সামান্য ব্যবধানে উঠানামা করে লেনদেন হচ্ছে তখন শেয়ারটি বিক্রি করে দিতে হবে।
স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগরে ক্ষেত্রে:
১। প্রথমেই বিনিয়োগকারীকে ঠিক করে নিতে হবে যে কত পরিমান লাভ তার টার্গেট হবে।
২। এক্ষেএে বিনিয়োগকারীকে মোটামুটি ১৫% লাভের টার্গেট করে বিক্রি করে দিতে হবে।
৩।যেহেতু স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগ অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ সেহেতু এক্ষএে লাভ হলেই বিক্রি করে দেওয়া উওম।
৪। যদি শেয়ারটি অনেক দিন সামান্য ব্যবধানে স্থির থেকে হঠাৎ বাড়তে শুরু হয়েছে এবং পরপর দুই দিন দাম বৃদ্বি পেয়েছে এবং ৩য় দিনে সকালে দাম পড়ে গেছে কিন্তু ভলিউম বেশী হচ্ছে তবে শেয়ারটি ৪র্থ দিনে বিক্রি করে দেওয়া উওম।
৫।যদি দেখা যায় শেয়ারটি পূর্বের দিনের তুলনায় দাম অনেকাংশ বেড়ে গেছে কিন্তু শেয়ারটির ভলিউম পূর্বের দিনগুলোর মত স্বাভাবিক আছে সে ক্ষেএে কিছু দিন অপেক্ষা করে যখন অস্বাভাবিক ভলিউমে যাবে তখন বিক্রি করে দিতে হবে।
৬। দাম বাড়ার পর যখন শেয়ারটি একটি মূল্যে সামান্য ব্যাবধানে উঠানামা করে লেনদেন হচ্ছে তখন শেয়ারটি বিক্রি করে দিতে হবে ।
লেখক ও শেয়ার গবেষকঃ মোঃ আব্দুল মতিন চয়ন।
ইনভেষ্টরঃ গ্লোব সিকিউরিটিজ লিঃ।