শেয়ার বাজার এমন একটি স্থান যেখানে বিভিন্ন দায়বদ্ধ পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি যারা স্টক একচেঞ্জে নিবন্ধিত হয়ে তাদের শেয়ার বেচা কেনা করে, একে পুঁজি বাজার ও বলা হয়। “এক কথায় বলতে গেলে কোনো কোম্পানি মূলধন সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তার উদ্দিষ্ট প্রাথমিক মূলধনকে কতোগুলো ছোট অংশে ভাগ করে জনগণের কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়, এই প্রত্যেকটি অংশকে এক একটি শেয়ার বলে।“
শেয়ার বাজারে কোন বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করতে চাইলে তাকে প্রথমে একটি ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে বিও একাঊন্ট খুলতে হবে এবং এই বিও একাঊন্ট এর বিপরীতে একটি ব্যাংক একাঊন্ট থাকতে হবে। প্রাপ্ত বয়স্ক মানে ১৮+ যে কেউ শেয়ার ব্যবসায় আসতে পারেন। তবে তার জন্য প্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হলো ব্যাংকে সঞ্চয়ী (savings) হিসাব খুলতে হবে। এরপর সেই ব্যাংক হিসেবের বিপরীতে CDBL (সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অফ বাংলাদেশ লিমিটেডের) অধীনে বিও (বেনিফিসিয়ারি অনার) একাউন্ট খুলতে হবে। মানে সোজা বাংলায় আপনি যে কোনো ব্রোকার হাউসে থেকে বিও একাউন্ট খুলতে পারেন। বিও একাউন্ট খোলার পর একজন বিনিয়োগকারী প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি উভয় মার্কেটে শেয়ার ব্যবসা করতে পারেন। প্রত্যেক বছর বেশ কিছু কোম্পানি IPO (ইনিশিয়াল পাবলিক অফার ) দিয়ে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত হয়। একটি কোম্পানি যখন প্রথমবারের মতো বাজারে প্রবেশ করে বা শেয়ার বাজারে ছাড়ে তাকে প্রাইমারি শেয়ার বলে।
এই প্রাইমারী শেয়ার যখন শেয়ার মার্কেট এ বিক্রয় করা হয় তখন তা সেকেন্ডারি শেয়ার বলে গণ্য করা হয়।
প্রাইমারী শেয়ার এর জন্য খুব বেশি টাকার প্রয়োজন হয় না এবং এক্ষেত্রে ঝুঁকিও একেবারে নাই বললেই চলে। তবে সেকেন্ডারি মার্কেট এ লাভের সম্ভাবনা যেমন আছে তেমনি ঝুঁকিও আছে। যদি পুঁজি, সময় ও জ্ঞানের সঠিক ব্যবহার এবং আর্থিক পরিকল্পনার মাধ্যমে বিনিয়োগ করা হয় তাহলে পুঁজি বাজার হতে পারে একজন বিনিয়োগকারীর জন্য সাফল্যের গল্প।