Globe Securities Ltd. | Post Details ;
16 Sep

বিনিয়োগের স্বর্গ “পুঁজিবাজার”

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে বিনিয়োগের ‘স্বর্গ’ হিসেবে অভিহিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সম্প্রতি দেশের অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি নিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রতিবেদন তৈরি করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইকোনমিক অ্যাডভাইজর ড. আখতারুজ্জামান। প্রতিবেদনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেখিয়েছে ডিভিডেন্ড ইয়েল্ড (কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ দেয়ার হার) ও মূল্য আয় অনুপাতে (পিই রেশিও) দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের পুঁজিবাজার অনেক দূর এগিয়ে রয়েছে। তাই বর্তমান সময়ে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার অত্যন্ত আকর্ষণীয় অবস্থানে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ পর্যন্ত দেশের পুঁজিবাজারের ডিভিডেন্ড ইয়েল্ডের পরিমান ৩.৬৯। যা উপমহাদেশের বড় দুই পুঁজিবাজার ভারত ও শ্রীলংকার তুলনায় অনেকটাই বেশি। একই সময়ে ভারত ও শ্রীলংকার ডিভিডেন্ড ইয়েল্ডের পরিমাণ হয়েছে ১.৪১ ও ৩.০৪। পাশাপাশি থাইল্যান্ডের পুঁজিবাজারের ডিভিডেন্ড ইয়েল্ডের পরিমান ৩.১৯।

প্রতিবেদনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেখিয়েছে ডিভিডেন্ড ইয়েল্ড (কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ দেয়ার হার) ও মূল্য আয় অনুপাতে (পিই রেশিও) দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের পুঁজিবাজার অনেক দূর এগিয়ে রয়েছে। তাই বর্তমান সময়ে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার অত্যন্ত আকর্ষণীয় অবস্থানে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এর আগের তিন মাসে অর্থাৎ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন, ২০১৬ পর্যন্ত দেশের পুঁজিবাজারের ডিভিডেন্ড ইয়েল্ডের পরিমাণ ছিল ৩.৭৪। একই সময়ে ভারত ও শ্রীলংকার ডিভিডেন্ড ইয়েল্ডের পরিমাণ ছিল ১.৪৪ ও ৩.০৪। উল্লেখ্য, কোম্পানির শেয়ারদরের সঙ্গে বাৎসরিক ডিভিডেন্ড দেয়ার অনুপাতকে ডিভিডেন্ড ইয়েল্ড বলে উল্লেখ করা হয়।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার জন্য এখনই সেরা সময়। তাই অপেক্ষাকৃত কম বিনিয়োগেই অধিক মুনাফা করা সম্ভব। বিশ্লেষকরা বলছেন, যথাযথ প্রচার-প্রচারণা ও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচির মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো সম্ভব।

এদিকে, শেয়ারপ্রতি মূল্য আয় অনুপাতের (পিই রেশিও) বিচারেও উপমহাদেশের দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান শক্তিশালী। ভারত, শ্রীলংকা ও থাইল্যান্ডের তুলনায় বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের পিই রেশিও কম অর্থাৎ বাজার পরিস্থিতি অধিক বিনিয়োগ উপযোগী। উল্লেখিত প্রান্তিকে ডিএসই’র সার্বিক পিই রেশিও’র পরিমাণ ছিল ১৫.১৯।

যেখানে একই সময় ভারতের ২০.৯২ ও থাইল্যান্ডের পিই রেশিও ২১.৭৬। এর আগের প্রান্তিকে ডিএসই’র সার্বিক পিই রেশিও’র পরিমাণ ছিল ১৪.৬৬। যেখানে একই সময় ভারতের ১৯.১২ ও থাইল্যান্ডের পিই রেশিও ছিল ২০.১১। তবে বর্তমানে অর্থাৎ ৫ জানুয়ারি, ২০১৭ তারিখের লেনদেন শেষে ডিএসই-তে পিই রেশিও হয়েছে ১৪ দশমিক ৭১। এর প্রভাবে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিওতে শেয়ার কেনা হয়েছে ৫ হাজার ৫৭ কোটি টাকার।

যা এর আগের বছর ছিল ৩ হাজার ৮২৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সেই হিসাবে শেয়ার কেনার পরিমাণ বেড়েছে ১ হাজার ২৩১ কোটি ৬০ লাখ টাকা বা ৩২.১৯ শতাংশ। পাশাপাশি ২০১৬ সালে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মোট লেনদেন হয় ৮ হাজার ৭৭৩ কোটি ৩০ টাকা। যা ২০১৫ সালে ছিল ৭ হাজার ৪৬৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

সেই হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৩০৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা বা ১৮ শতাংশ। আলোচ্য বছরে শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে ৩ হাজার ৭১৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার। যা গত বছর ছিল ৩ হাজার ৪৩৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এছাড়া বর্তমান পুঁজিবাজারে অর্থাৎ দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকের পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইকোনমিক অ্যাডভাইজর ড.আখতারুজ্জামান বলেন, ডিভিডেন্ড ইয়েল্ড এবং পিই রেশিওতে দেশের পুঁজিবাজার অনেক এগিয়ে রয়েছে। যা দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সহায়ক হবে। কারণ ডিভিডেন্ড ইয়েল্ড এবং পিই রেশিও’র হিসেবে আমাদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে নিশ্চিত মুনাফা পাওয়া যাবে।

Comments